একেবারে বিয়ের ফাঁদ। কোথাও চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে, কোথাও আবার পদস্থ সরকারি আমলা পরিচয় দিয়ে মাঝবয়সী সিঙ্গল অথবা ডিভোর্সি মহিলাদের টার্গেট করত ওড়িশার এক ব্যক্তি। এরপর তাদের বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করত বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪টি বিয়ে করেছে। ৫৪ বছর বয়সী বিভু প্রকাশ সৈন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকী ইন্দো- তিব্বত বর্ডার পুলিশের এক মহিলা আধিকারিক ও দিল্লির এক আইনজীবীর সঙ্গেও প্রতারণা করেছে ওই ব্যক্তি।
ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডঃ উমাশঙ্কর দাস বলেন, ওই ব্যক্তি মহিলাদের সম্পত্তি হাতানোর জন্য ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট দেখে টোপ ফেলত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মরত মহিলাদের টার্গেট করত ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর ২০০২ সাল থেকেই সে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির এক স্কুল শিক্ষিকা প্রথমে অভিযোগ জানান। ওই ব্যক্তির একাধিক বিয়ের কথা জেনেই তিনি অভিযোগ জানান।
পুলিশ তার বাড়ি তল্লাশি করে ১১টি এটিএম কার্ড, ৪টি আধার কার্ড নানা নামে পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির পাঁচ ছেলেমেয়ে রয়েছে। তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ৮২ সালে। দ্বিতীয় বিয়ে ২০০২ সালে। এরপর থেকেই সে একের পর এক বিয়ের নামে প্রতারণা শুরু করে। শুধু বিয়ে করাই নয়, হায়দরাবাদে কাজ দেওয়ার নামে সে আর্থিক প্রতারণাও করেছিল বেকারদের সঙ্গে। তখন গ্রেফতারও হয়েছিল সে।