করোনা-লকডাউন পরিস্থিতিতে এমনিতেই খারাপ চাকরির বাজার। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনটাই বলছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা।
প্রতি ১০ জনে ৬ জন চাকরি হারাতে পারেন ২০২৫ সাল নাগাদ, বলছে রিপোর্ট। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে AI, রোবোটিক্স, স্বয়ংক্রিয় মেশিনের প্রয়োগ বাড়ছে। আর তার ফলেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে চাকরির বাজারে। দক্ষ কর্মী হিসাবে মানুষের চাহিদা কমতে পারে উত্তরোত্তর।
বিশ্বের ১৯টি দেশ ৩২,০০০ কর্মীর উপর সমীক্ষাটি চালায় PwC । সেই থেকে মিলেছে এই আশঙ্কাজনক তথ্য।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৪০% কর্মীই মনে করছেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে তাঁদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫৬% কর্মীর ধারণা ভবিষ্যতে দীর্ঘকালীন চাকরির সংখ্যা অনেকটাই কমবে আগামী ২-৩ বছরে।
একমাত্র সরকারি হস্তক্ষেপেই এর সুরাহা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রায় ৬০% কর্মীর মত এমনই।
করোনা পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে এমনিতেই টলমল। তাই সময় থাকতে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মত একাংশের। করোনা পরিস্থিতিতে ৪০% কর্মী নিজেদের ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন।
আবার অনেকে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নতুন 'স্কিলস' শেখারও পরিকল্পনা করছেন। ৭৭% মানুষ নতুন কিছু শিখে চাকরির বাজারে নিজেদের চাহিদা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী AI ও যন্ত্রাদির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চাকরি খোয়াতে পারেন বিশ্বের সাড়ে ৮ কোটি মানুষ।
তবে, এর মধ্যে স্বস্তির খবর একটাই। নয়া প্রযুক্তিতে কাজ করার জন্য প্রয়োজন হবে আরও অনেক কর্মীর। সেক্ষেত্রে নিয়োগ হতে পারে প্রায় ১০ কোটির কাছাকাছি কর্মচারীর।