সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর এক মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণই নয়, ওই মহিলার বিভিন্ন আত্মীয়ের কাছে চাকরির নামে ২৪ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি দিল্লির বিন্দাপুরের। এই অভিযোগে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম দীপক কুমার।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআইএসএফের ওই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে দীপকের পরিচয় হয়েছিল একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে। ওই যুবক নিজেকে ভারতীয় সেনার মেজর হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তারপরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিযোগ বিয়ের কথাও প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ওই যুবক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে সহবাস করে। এমনকি তার পরিবারের বিভিন্ন লোককে চাকরি দেওয়ার নামে কমপক্ষে ২৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর থেকেই ওই যুবকের কোনও হাদিস না পেয়ে ওই মহিলা কনস্টেবল বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
দিল্লির বিন্দাপুর থেকে পুলিশের একটি দল অভিযুক্তের খোঁজে বিহারের পাটনায় হানা দেয় জানা গিয়েছে, পুলিশের এই দলকে ওই যুবক এবং তার পরিবারের সদস্যরা আক্রমণ করে। একটি ঘরে তালা বন্ধ করে দেয় এবং তাদের মারধর করে। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহায়তায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাজেশ দেও জানিয়েছেন।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দীপকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৪০৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীপক বিহারের আরওয়াল জেলার বাসিন্দা। তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর সে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে শুরু করে।