করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করার জন্য দেওয়া হয়েছিল টাকা। কিন্তু সেই ত্রাণ তহবিল থেকেই ২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) খরচ হয়ে গেল একটি আজব মূর্তির পিছনে। এমনই কাণ্ড ঘটেছে জাপানের উপকূলবর্তী শহর নোটো-তে।
প্রসঙ্গত, স্কুইড অনেকটা ছোটো অক্টোপাস জাতীয় প্রাণী। জাপান, চিন এমনকী পশ্চিমী কুইজিনেও এটি বেশ উপায়দেয় হিসাবে গণ্য করা হয়। এখন তো কলকাতার বহু চিনা, জাপানি, কন্টিনেন্টাল রেস্তোরাঁয় স্কুইড থাকে মেনুতে।
তা এ হেন স্কুইডের স্ট্যাচু বানানোর যুক্তি কী? তাও আবার করোনা ফান্ডের টাকায়? শহর কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি সৈকতের শোভা বৃদ্ধি করে। নোটো শহরের অন্যতম বড় ভিত্তি হল মত্স্যশিল্প। আর সেটিরই প্রতীকস্বরূপ এটি। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে পর্যটকদের আকর্ষণ করবে এই মূর্তি। এর ফলে শহরের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
এদিকে নোটোর পুরসভার কর্তাদের এই যুক্তি মানতে নারাজ স্থানীয় নেটিজেনরা। তাঁদের প্রশ্ন, 'যেখানে সাধারণ মানুষ টিকা পাচ্ছেন না, পর্যাপ্ত করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, সেখানে এই সময়ে এমন মূর্তির যুক্তি কী?'