বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতের অন্যতম চর্চিত বিষয় হল শ্রদ্ধা ওয়াকর খুনের ঘটনা। প্রাথমিক প্রমাণে এটা স্পষ্ট যে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে তাঁর প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা। তবে কী কারণে এই খুন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এই আবহে প্রথমে পলিগ্রাফ টেস্ট এবং এবার আফতাবের নারকো টেস্ট হল। টেস্টে আফতাব জানিয়েছে, রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করে সে।
নারকো টেস্টের জন্য গতকাল সকালে আফতাবকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে। সেখানে সকাল ১০টা নাগাদ আফতাবের টেস্ট শুরু হয়। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশের পরই আফতাবের নারকো টেস্ট করানো হয়েছে। এর আগে শ্রদ্ধার বাবা তার মেয়ের খুনের ঘটনায় ‘লাভ জিহাদে’র অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে আফতাবের বয়ানে সেই ধরনের কিছু পায়নি তদন্তকারীরা। এই আবহে তার নারকো টেস্ট করানো হয়। টেস্টের সময় আফতাব নাকি জানায়, ঘরের খরচা নিয়ে ঝগড়ার সময় খেই হারিয়ে ফেলে শ্রদ্ধাকে খুন করে সে। এর আগে আদালতেও আফতাব জানিয়েছিল, তার মাথা গরম হয়ে যাওয়াতেই খুন করেছিল শ্রদ্ধাকে।
প্রসঙ্গত, অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের আলাপ হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে আফতাবের সঙ্গে একই কলসেন্টারে কাজ শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু ভিনধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের। সেই পরিস্থিতিতে আফতাবের সঙ্গে মুম্বই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরেছিল আফতাব। তারপর তাঁকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত। কীভাবেে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু'সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব।