প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করার নজির রয়েছে। এবার এনিয়ে মুখ খুলল কর্ণাটক হাইকোর্ট। কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর শব্দ প্রয়োগ করলে সেটা অপমানজনক। সেটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। কিন্তু এটা রাষ্ট্রদ্রোহীতা বলে উল্লেখ করা যায় না। একটি স্কুল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে এনিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা খারিজ করে দেওয়ার সময় এই কথা জানিয়েছে হাইকোর্ট।
বিদারের শাহিন স্কুলের ম্যানেজমেন্টের কর্তা আলাউদ্দি, আব্দুল খালেখ, মহম্মদ বিলাল ইনামদার, ও মহম্মদ মেহেতাবের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। তবে হাইকোর্টের কালবুর্গি বেঞ্চের বিচারপতি হেমন্ত চন্দনগৌড়ার এই এফআইআরকে খারিজ করে দিয়েছেন। খবর পিটিআই সূত্রে।
আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় সেকশন ১৫৩(এ) অর্থাৎ ধর্মীয় গ্রুপগুলির মধ্য়ে শত্রুতা তৈরি করার মতো কোনও ঘটনা পাওয়া যায়নি। বিচারপতি তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে জুতো দিয়ে মারা উচিত এই মন্তব্য শুধু অবমাননাকর নয়, এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। সরকারের পলিসি নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু কোনও সাংবিধানিক বডি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সেটাকে এভাবে অপমান করা যায় না। তবে কিছু মানুষের এতে আপত্তি থাকতেই পারে।
এদিকে বাচ্চাদের নিয়ে একটা নাটক করা হয়েছিল। সেখানে সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বলা হয়। এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হল মুসলিমদের দেশ থেকে চলে যেতে হবে। এসব বলা হয়েছিল। এদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ, নাটকটি স্কুল চত্বরে করা হয়েছিল। তবে শিশুদের মুখ দিয়ে এমন কোনও শব্দ উচ্চারণ করা হয়নি যাতে হিংসা ছড়াতে পারে।
এদিকে একজন অভিযুক্ত এই নাটকটি সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন। তারপরই এটা নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি যাতে বলা যায় যে এই নাটকটির পেছনে হিংসায় উসকানি দেওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা ছিল। সেকারণে আদালত জানিয়েছে, যে রাষ্ট্রদ্রোহীতার ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়।
এদিকে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা এই নাটকটি করেছিল। সেই নাটককে কেন্দ্র করেই মামলা হয়। সেখানে সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে নানা কথা বলা হয়েছিল। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা যায়। তবে আদালতের তরফে স্কুলকে বলা হয়েছে, সরকারের নানা পলিসি নিয়ে সমালোচনা করা থেকে স্কুল ছাত্রদের যাতে কাজে লাগানো না হয় সেটা দেখা দরকার। এতে ছোট পড়ুয়াদের জড়িয়ে ফেলার দরকার নেই।