আদানিদের শেয়ারের দাম নিয়ে কারচুপি সম্পর্কিত সেবির তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট, এই রায়ে আসার পরেই হুহু করে বাড়ল সংস্থার শেয়ারের দর। বুধবার দিনের শেষে আম্বানিদের মোট সম্পদের থেকে কিছুটা এগিয়েই শেষ করল আদানিরা। ফলে একদিনেই গৌতম আদানির পরিবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে ভারতের সবচেয়ে ধনী প্রমোটারের খেতাব পুনরুদ্ধার করল আমদাবাদ-ভিত্তিক গোষ্ঠীর পক্ষে রায়ে যাওয়ার পর গ্রুপের স্টকগুলি বুধবার ১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা সামগ্রিক বাজার মূলধনের ১৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লাভে অবদান রেখেছে।
গৌতম আদানি পরিবারের নিট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা। সেই তুলনায় মুকেশ আম্বানি পরিবারের নিট সম্পদ গতদিনের ৯.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে সামান্য কমে ৯.২৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।
• আদানি এনার্জি সলিউশনস ১১.৬ শতাংশ বেড়ে ১১৮৩.৯০ টাকায় পৌঁছেছে।
• আদানি টোটাল গ্যাস ৯.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,০৯৯.০৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
• আদানি গ্রিন এনার্জি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৮৯.৭৫ এ পৌঁছেছে।
• আদানি পাওয়ারের শেয়ার ৫ শতাংশ বেড়ে ৫৪৪.৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
• আদানি উইলমার ৩.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮১.০৫ এ বন্ধ হয়েছে।
• এনডিটিভির শেয়ার ৩.৬৬ শতাংশ বেড়ে ২৮১.৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
• ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ ২.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩,০০৩.৯৫-এ বন্ধ হয়েছে।
• আদানি পোর্টস ১.৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৩৯.৫০ এ পৌঁছেছে।
• অম্বুজা সিমেন্টসের শেয়ার ০.৯৪ শতাংশ বেড়ে ৫৩৫.৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
• এসিসি ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২৭০ এ বন্ধ হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আদানিদের শেয়ারের দামের কারচুপির অভিযোগের তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে। আদালত বলেছে যে সেবি এই সংক্রান্ত যা তদন্ত করেছে তা যথাপযুক্ত ও ঠিক পথেই যাচ্ছে। শীর্ষ আদালত সেবিকে নির্দেশ দিয়েছে যে তিন মাসের মধ্যে দুটি বিচারাধীন তদন্ত অবিলম্বে শেষ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ওসিসিআরপি-র মতো তৃতীয় পক্ষের সংস্থার সংবাদপত্রের নিবন্ধ বা প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে কোনও বিশেষ নিয়ন্ত্রকের বিস্তৃত তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তাদের রায়ে বলে যে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ২৪টি তদন্তের মধ্যে ২২টি শেষ করেছে সেবি। রায়ের পর গৌতম আদানি বলেন, মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে সত্যের জয় হয়েছে। সত্যমেব জয়তে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ আদানির সমালোচনা করে বলেন, ‘গত এক দশকে যারা এই ব্যবস্থার সঙ্গে খেলা করেছে, কারচুপি করেছে এবং ধ্বংস করেছে, তাদের কাছ থেকে সত্যমেব জয়তে শুনলে সত্য হাজার হাজার মৃত্যু বরণ করে।’