২০১৪ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। অভিযোগ ছিল, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামলাল আনন্দ কলেজের অধ্যাপক জি এন সাইবাবার সঙ্গে মাওবাদীদের গোপন আঁতাত রয়েছে। সেই অভিযোগের জেরে আইনি লড়াই পর্বের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর কারাবাসের সাজা ভোগ করেন তিনি। শেষে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ তাঁকে সেই মাওবাদী যোগের অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল এই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের সঙ্গে?
ঘটনা ২০১৩ সালের। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হেম মিশ্র ও সাংবাদিক প্রশান্ত রাহিকে মাওবাদী যোগের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সেই গ্রেফতারির সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় জি এন সাইবাবাকে। মহারাষ্ট্র পুলিশের অভিযোগ ছিল যে, দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের সঙ্গে গোপনে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন সাইবাবা। অভিযোগ আরও ছিল।
সেখানে বলা হয়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার এক মাওবাদী সমর্থিত সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দেন সাইবাবা। সেই ঘটনা ২০১২ সালের বলে অভিযোগ ছিল। এরপর শারীরিক অক্ষমতার কারণে, বিশেষভাবে সক্ষম জি এন সাইবাবা জামিন পান। তবে ২০১৭ সালে নিম্ন আদালতে ইউএপিএ আইনে সাজা ঘোষণার পর তাঁকে জেলবন্দি করা হয়। নিম্ন আদালত দিয়েছিল যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা।
এরপর দীর্ঘদিন ধরে নাগপুরের সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন জিএন সাইবাবা। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত দেও আনিত পানসারের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সাইবাবা মামালায় রায় ঘোষণা করে। সেখানে ২০১৭ সালে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। তাঁকে মাওবাদী যোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সাইবাবার স্ত্রী বসন্ত কুমারী বলছেন, তাঁর স্বামীকে ভুলভাবে ওই মামলায় তাঁকে ভুলভাবে অভিযুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন জেলে থেকে তিনি চলচ্ছক্তি হারিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।