থাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধ মঠে সন্ন্যাসীদের ড্রাগ টেস্ট করা হয়েছিল। আর সমস্ত সন্ন্যাসীই সেই পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের আধিকারিকরা। আপাতত ওই মনাস্ট্রিকে খালি করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চারজন সন্ন্যাসীর মাদক পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। সূত্রের খবর, ওই সন্ন্যাসীদের মাদক পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য সন্ন্যাসীরা সকলেই গুম্ফা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগে গ্রামবাসীরা। কারণ তাঁরা সাধারণত ভিক্ষা করেই তাঁদের খাবারের জোগাড় করেন। কিন্তু তাঁরা কি আর খাবার জোগাড় করতে পারবেন?
এদিকে আরও সন্ন্যাসীদের ওই গুম্ফায় আনা হচ্ছে। স্থানীয়রা যাতে পুজোপাঠ ঠিকঠাক করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে ড্রাগ ও ক্রাইম বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের অফিসের দাবি মায়ানমার থেকে লাওস হয়ে প্রচুর মাদক থাইল্যান্ডে আসে। রাস্তাতেই এই মাদকের পিল বিক্রি করা হয়। ২০ ভাট দিয়েই পাওয়া যায় এই পিল। তবে বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিপুল মাদক মাঝেমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছিল। তিনি মাদক ট্যাবলেট গ্রামে দিতেন ও নিজে খেতেন বলে অভিযোগ। ৪০ বছর বয়সী ওই সাধু স্থানীয় গুম্ফাতে থাকতেন। তিনি যুবকদের মধ্যে ইয়াবা জাতীয় মাদক বিলি করতেন বলে অভিযোগ।
তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে তাঁর বিছানার নীচে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬টি মাদকগুলি পাওয়া যায়। পরে তিনি স্বীকার করেন তিনি মাদক খাওয়া ও বিক্রি করা দুটোই করেন।