বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বৈধতা যাচাইয়ের কাজ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এই কাজের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সেখানে জানানো হয়, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হলেও এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের হাতে থাকা একটি স্মার্টফোনও বন্ধ হবে না। তবে নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে যাচাই করে কিনতে হবে।
এই বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মানুষ যাতে নিরাপদে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন সেটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া। তবে কোনওভাবেই যেন কোনও গ্রাহক হয়রানির শিকার না হন।’ এই অনুষ্ঠানে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান বিটিআরসির মহাপরিচালক (তরঙ্গ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ শহিদুল আলম। তিনি জানান, মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে স্মার্টফোনের তথ্য স্থানান্তর হয়েছে। ফলে ৩০ জুনের মধ্যে নেটওয়ার্কে চালু থাকা সব স্মার্টফোনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
বিটিআরসি স্মার্টফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) নামের এই ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত নভেম্বর মাসে চুক্তি করে। বিটিআরসি সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবস্থাটি চালানো হবে। এই কাজ চালু হলে অবৈধ মোবাইল শনাক্ত করা যাবে। গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। সব মিলিয়ে সরকারের রাজস্ব ও নিরাপত্তা বাড়বে।
অনেকের দাবি অনুযায়ী, দেশে ২৫–৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। তার জেরে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। বিটিআরসি জানিয়েছে, এনইআইআরের কাজ ১ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও সিম নম্বরের সঙ্গে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের আইএমইআই সম্পৃক্ত করে নিবন্ধন করা হবে। ১ জুলাই থেকে নতুন যেসব স্মার্টফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে, তা প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল করে এনইআইআরের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। বৈধ হলে স্মার্টফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে।