সম্প্রতি উৎসবের সময় ট্রেন স্টেশনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছে। বিহারগামী ট্রেনে উঠতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কনফার্ম টিকিট থাকা ব্যক্তিরাও নাকি যাত্রীদের ভিড়ে ট্রেনে উঠবে পারেননি। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল মন্ত্রক। সম্প্রতি রেলমনত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে ৩০০০টি নতুন ট্রেন চালু করা হবে দেশে। পাশাপাশি রেল মন্ত্রকের সূত্রে নাকি এনডিটিভিকে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে রেলের ব্যবস্থা এমন করা হবে যে, কোনও যাত্রী টিকিট কাটলে তা কনফার্মই হবে। আর ওয়েটিংয়ের ঝক্কি পোহাতে হবে না কাউকে। (আরও পড়ুন: ৫ বছরে ৩০০০ নতুন ট্রেন চালু করা হবে, বড় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, ছুটবে ৪০০টি বন্দে ভারত)
এদিকে উৎসবের মরশুমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়ের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সঙ্গে অভিযোগ উঠেছিল, ভারতীয় রেল নাকি ট্রেনগুলিতে নন-এসি ও জেনারেল কামরার সংখ্যা কমিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মুখ খুললেন। সাফ কথায় তিনি জানিয়ে দিলেন, এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, কোনও ট্রেনেই কামরার সংখ্যায় বদল আনা হয়নি। অর্থাৎ, আগে যত সংখ্যক নন-এসি এবং জেনারেল কামরা এক একটি ট্রেনে থাকত, বর্তমানেও সেটাই আছে। মন্ত্রী জানিয়ে দেন, নতুন লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচের অন্তর্ভুক্তির পর থেকে কামরার সংখ্যায় কোনও পরিবর্তনই আনা হয়নি রেলের তরফ থেকে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'কিছু রিপোর্ট বেরিয়েছে, যাতে দাবি করা হচ্ছে, ট্রেনে স্লিপার ক্লাস কামরার সংখ্যা কমানো হয়েছে, যার জেরে যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। নতুন লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচের অন্তর্ভুক্তির পর থেকে স্ট্যান্ডার্ড মেনে ট্রেনের কামরা যোগ করা হয়। এই ধরনের সব দূরপাল্লার ট্রেনেই ২২টি করে কামরা থাকে। এবং বিভিন্ন শ্রেণির কোচের সংখ্যাও একই রাখা হয়েছে।' রেলমন্ত্রী বলেন, একটি ট্রেনে ৬ থেকে ৭টি স্লিপার ক্লাস কামরা থাকে। তাছাড়া ৪টি করে জেনারেল কামরা থাকে। এছাড়া ১টি এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থাকতে পারে আবার তা নাও থাকতে পারে। পাশাপাশি দু'টি প্যান্ট্রি কার থাকবে ট্রেনের সঙ্গে। ২টি এসি টু টায়ার কামরা এবং তিনটি এসি থ্রি টায়ার কামরা থাকে। এরই সঙ্গে একটি পাওয়ার কার বা গার্ড কোচ থাকে। এদিকে তিনি জানান, যাত্রীক্ষমতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আগামী পাঁচবছরে তিন হাজার নতুন ট্রেনে ট্র্যাকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।