তফশিলি জাতি এবং উপজাতিদের জাত তুলে অপমান সংক্রান্ত মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, প্রকাশ্য জায়গায় জাতপাত তুলে অপমান করা হলে তবেই ১৯৮৯ তফসিলি জাতি এবং উপজাতি আইনে তবেই সেটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আর সেটি প্রকাশ্য জায়গায় না হলে বা ঘরের ভিতরে হলে যেখানে যদি বাইরের কেউ উপস্থিত না থাকে তাহলে সেটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। এই বলে একটি স্কুল মালিকের বিরুদ্ধে জাতপাত তুলে অপমান করা সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রীকে জাত তুলে অপমান, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম আহমেদ পর্যবেক্ষণে বলেছেন, যে একজন ব্যক্তিকে এসসি/এসটি আইনের ৩(১)(এস) ধারার অধীনে তখনই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে যদি সেটি প্রকাশ্য স্থানে হয়। মামলার বয়ান অনুযায়ী, দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করে। ওই ছাত্র ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া পরীক্ষায় ফেল করে। তখন এক ছাত্রের অভিভাবক এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, এনিয়ে তিনি স্কুল মালিকের বাড়ি গেলে তিনি ওই অভিভাবককে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করেন। এমনকী বাড়িতে না যাওয়ার জন্যও হুমকি দেন স্কুলের মালিক। সেই সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত।
হাইকোর্ট আরও উল্লেখ করেছে, ঘটনার সময় বাড়িতে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না।মামলার ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখে, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে ছাত্রদের ফলাফল এবং পরীক্ষার একমাত্র দায়িত্ব সেন্ট্রাল বোর্ড অফ স্কুল এডুকেশনের (সিবিএসই)। এক্ষেত্রে স্কুল মালিকের কিছুই করার নেই।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত উল্লেখ করেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য অভিযোগকারীকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। তবে আদালতের কাছে সেই অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। আদালত মনে করে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে অভিযুক্তের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে কোনও হাত নেই। ফলে এরজন্য এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করার কোনও মানে হয় না। শুধু তাই নয়, অপরাধমূলক ভয় দেখানোর ভিত্তিতেও কোনও প্রমাণ পায়নি আদালত। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করে না আদালত।