ধর্ষণ করার পর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে অনেকটাই কেটে দিয়েছিল অভিযুক্ত। এখানেই থেমে না থেকে কিশোরীকে বস্তাবন্দি করে ফেলেও দিয়েছিল। কোনওভাবে সেই বস্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল কিশোরী। এমনকি নিজের রক্ত দিয়ে হাতে লিখেছিল ধর্ষকের নাম। ধর্ষণের পর কিশোরী যেভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছে তার সিনেমার গল্প কেউ হার মানায়। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল অসমের শিলচর শহর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাবালিকাকে দু’বছর ধরে ধর্ষণ, ১৪২ বছরের কারাদণ্ড ৪১ বছর বয়সি ব্যক্তিকে!
কী ঘটেছিল?
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টমীর দিন সঞ্জয় তেলি নামে এক যুবকের সঙ্গে পুজো দেখতে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। তারপর সারা রাত ধরে সে বাড়ি ফেরেনি। নবমীর সকালে বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে ওই কিশোরী। বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে সে। পরিবারের সদস্যদের ওই কিশোরী জানান, মহা অষ্টমীর রাতে সঞ্জয় তাকে ধর্ষণ করার পর গলায় ছুরির কোপ বসায়। তাতে গলার অনেক অংশ কেটে যায় ওই কিশোরীর। এরপরে সঞ্জয় তাকে বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু, সকালে জ্ঞান ফিরলে কিশোরী নিজেকে বস্তার মধ্যে বন্দি অবস্থায় দেখতে পায়। গলায় আঘাতের কারণে সে বাঁচানোর জন্য চিৎকারও করতে করছিল না। আঙুল ও দাঁত দিয়ে কোনওভাবে বস্তা কেটে নিজেকে মুক্ত করে কিশোরী। এরপর পরনের প্যান্ট দিয়ে কোনওভাবে গলা বেঁধে ওই কিশোরী নবমীর দিন সকালে বাড়ি ফার। এরই মধ্যে নিজের হাতেই রক্ত দিয়ে ধর্ষকের নাম লিখে ফেলেছিল ওই কিশোরী।
বাড়ি ফিরলে প্রথমে তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে সেখান থেকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সেখানে মেয়েটির গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে টিউবের সাহায্যে তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। ঘটনার কথা ইতিমধ্যে থানায় জানিয়েছে পরিবার। নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে মুম্বইয়ে। গলা দিয়ে আওয়াজ বের না হওয়ায় ওই মেয়েটি সমস্ত কথা লিখেই জানিয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে। জেরায় সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।