রাজস্থানের কোটার একটি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নিষিদ্ধ জিহাদি সংগঠন এবং লাভ জিহাদে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই শিক্ষককে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে শিক্ষা দফতর। এছাড়াও অন্য এক শিক্ষিকাকে বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ৩ জনের নাম হল-ফিরোজ খান, মির্জা মুজ্জাহিদ এবং শাবানা। তাঁদের বিরুদ্ধে হিন্দু পড়ুয়াদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘ছত্তিশগড়ে ধর্মান্তর বন্ধ হবে’, খ্রিস্টান মিশনারিদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ঘটনাটি ঘটেছে খাজুরির ওদপুর গ্রামের সরকারি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা স্কুলছাত্রীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে এবং নামাজ পড়তে বাধ্য করছিলেন। এছাড়াও, স্কুলের রেকর্ডে একজন হিন্দু মেয়ের নাম মুসলিম হিসেবে ছিল এবং পরে মুসলিম যুবকরা তাঁকে অপহরণ করে। তাঁকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার সম্প্রতি ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময় খাজুরির বাসিন্দারা একটি স্মারকলিপি মন্ত্রীর কাছে জমা দেন। এরপর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে পদক্ষেপ করেন। তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার কোটা জেলার শিক্ষা আধিকারিক (মাধ্যমিক) এই পদক্ষেপ নেন। তদন্ত চলাকালীন তাঁদের বিকানেরে শিক্ষা আধিকারিকদের দফতরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার মন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে অভিযুক্ত ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে বিবৃতি জারি করেন। তাকে শিক্ষামন্ত্রী জানান ২ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি ৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি ২ শিক্ষক- ফিরোজ খান এবং মির্জা মুজাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। শাবানার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর আমি তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে তাঁদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করব।'