উপজাতি অধ্যুষিত রাজ্য ছত্তিশগড়ে প্রায়ই হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে। গত শনিবারই ছত্তিশগড়ের রায়গড়ের সাবিত্রীনগর কলোনিতে ২০ থেকে ২৫ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। শুধু তাই নয়, অতীতে ছত্তিশগড়ে এই ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় ছত্তিশগড়ের বিজেপি সরকার এই ঘটনা বন্ধ করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে দরিদ্র মানুষকে ৫ বছর বিনামূল্যে চাল দেবে নয়া বিজেপি সরকার
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলে বলেছন, ‘খ্রিস্টান মিশনারিরা স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার আড়ালে ধর্মান্তরিত করছে। খ্রিস্টান মিশনারিরা ছত্তিশগড়ে খুব সক্রিয়। এই সব শীঘ্রই বন্ধ হবে এবং হিন্দুত্ব শক্তি অর্জন করবে।’মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের গণমাধ্যম শাখার চেয়ারপার্সন সুশীল আনন্দ শুক্লা বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি জানান, বিজেপি অপ্রয়োজনীয়ভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে ধর্মান্তরকরণকে একটি ইস্যু করার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একদল মিশনারি অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই রায়গড়ের সাবিত্রী নগর কলোনিতে একটি প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ জনকে আটক করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
জানা যায়, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একদল লোক সাবিত্রী নগরের একই ব্যক্তিগত জায়গায় সভার আয়োজন করেছিল। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ২০–২৫ জন লোককেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আয়োজকরা সেখানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রলুদ্ধ করার জন্য ডিভিডির মাধ্যমে প্রচারমূলক সম্প্রচার করছিল। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি জানার পরে সেখানে অভিযান চালায় এবং পুলিশকে বিষয়টি জানায়। তার ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে প্রায় ১২ জনকে আটক করে। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতীতেও বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত ওপিনিয়ন পোলে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও অপ্রত্যাশিতভাবে ভোটে জিতে যায় বিজেপি। আদিবাসী এলাকায় গতবার খারাপ ফল করলেও এবার জায়গা অনেকটা পুনরুদ্ধার করেছে গেরুয়া শিবির। এই আদিবাসীদের মধ্যেই মিশনারিদের বেশি আনাগোনা দেখা গিয়েছে অতীতে। ফলে স্বাভাবিকভাবে এখানে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি ও সংঘ পরিবার।