বিকল্প শক্তির যোগান যাতে ঠিকঠাক থাকে সেকারণে আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করছে ভারত। তবে এবার প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার যাতে যথাযথ থাকে সেকারণে এবার হাইড্রোকার্বন রাখার পুরানো কুয়োগুলিকে ফের ব্যবহার করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারণ গোটা বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাতে প্রাকৃতিক গ্য়াসের ভাণ্ডার যথাযথ রাখার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এনিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
গেইলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুমিত কিশোর একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, তিন থেকে চার বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাসকে মজুত রাখার মতো ব্য়বস্থা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের কাছে পেট্রলিয়াম মজুত রাখার মতো পাঁচ মিলিয়ন টনের ব্য়বস্থা রয়েছে। তবে সুমিত কিশোর জানিয়েছেন, সরকার অনুমোদন দিলে এই ধরনের মজুতের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। এদিকে ভারত বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্য়াসের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে চাইছে। ২০৩০ সালের মধ্য়ে শক্তি সম্পদের মধ্য়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ৬.২ শতাংশ মাত্র। প্রতিবছর ভারত ৬০ বিসিএম গ্যাস ব্যবহার করে।
তবে এবার বিকল্প জ্বালানি হিসাবে প্রাকৃতিক গ্য়াসের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চাইছে ভারত। এদিকে আগামী দিনে যদি বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে জ্বালানি আসার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় তবে ভারতের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। সেকারণে সবরকম পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতের কথা লক্ষ্য় রেখে এগোতে চাইছে সরকার।