এবার আইএএস আইন সংশোধনী নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানালেন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্টরা। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট বলেন যে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস (এআইএস) ক্যাডার বিধিগুলির প্রস্তাবিত সংশোধনগুলি নিয়ে সঠিক ভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়নি এবং পর্যাপ্ত ফেডারেল পরামর্শ ছাড়াই তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিকরা। কনস্টিটিউশনাল কনডাক্ট গ্রুপের সদস্যরা সেই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এআইএস-এর ক্যাডার বিধিমালায় তিনটি প্রস্তাবিত সংশোধনী স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক। এই সংশোধনীগুলির মাধ্যমে কেন্দ্র ভারতের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে হস্তক্ষেপ করছে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে এটি। সর্দার প্যাটেল দেশের ঐক্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছিলেন এই মৌলিক কাঠামোকে।’
উল্লেখ্য, এর আগে আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস অফিসারদের কেন্দ্রে বদলিতে যেতে হলে রাজ্যের সম্মতি আবশ্যিক ছিল। কিন্তু যে নয়া সংশোধনীতে আনা হচ্ছে, তাতে আর রাজ্যের সম্মতি নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক থাকবে না। এতেই আপত্তি তুলেছে রাজ্যগুলি। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করছেন রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। একতরফা ভাবে আধিকারিক বদলি করার ক্ষমতা যদি কেন্দ্রের হাতি থাকে, তাতে রাজ্যগুলির কার্যক্ষমতা খর্ব হবে বলে অভিযোগ।
এর আগে পশঅচিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই সংশোধনীর বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এই সংশোধনী আনা হলে যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামোতে পারস্পরিক সহযোগী নীতির মূলে আঘাত হানা হবে। মমতা ছাড়াও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এই সংশোধনী আনতে বারণ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।