জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ভারতীয় সেনার পরিবারকে উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু করেছে মণিপুরে কর্তব্যরত সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক বলেন, 'সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলস এই অভিযানে যোগ দিয়েছে। আমরা অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করি এবং আহত সেনার বাবাকে ডিমাপুর সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাই।' তিনি আরও বলেন,' আমাদের তিনজন জওয়ানেক আত্মীয়-সহ অপহৃত চারজনকে উদ্ধার করার জন্য অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।'
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ, সেনা পরিবারের সদস্য-সহ পাঁচ কুকিকে অপহরণ করে একদল লোক। সে সময় তাঁরা মহিন্দ্রা বোলেরো করে কংপোকপি যাচ্ছিলেন। কংচুপ চিংকং এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক তাদের ঘিরে ফেলে অপরহণ করে।
বাহিনী ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যিনি এক সেনার পিতা। কিন্তু উদ্ধার করার আগেই ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে জনতা। তারা দুজন পুরুষ এবং দুজন মহিলাকে অপহরণ করে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত বৃদ্ধের নাম মঙ্গলুন হাওকিপ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে এয়ারলিফট করে ডিমাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা অনুমতি দিলে তাঁকে দিল্লির একটি হাসপাতালে আনা হতে পারে।
(পড়তে পারেন। মারপিট না করলেও উন্মত্ত জনতার সঙ্গে থাকলে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন-সুপ্রিম কোর্ট)
এক সেনা আধিকারিক বলেন, 'আহতের অবস্থা এখনও সংকটজনক। চিকিৎসকরা পরমর্শ দিলে তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। যাঁর বাবা আহত ওই সেনা জাওয়ানকে ও ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে যাতে তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন।' প্রসঙ্গত, গত তিনদিনে মণিপুরে দুটি ভিন্ন ঘটনায় ছজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর দুই মেইতেই তরুণকে অপহরণ করা হয়। বাইকে করে তাঁরা এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার আদালতে ইম্ফল পুলিশ জানিয়েছে, তারা সন্দেহ করছে যে ৫ নভেম্বর অপহরণ করা দুটি মেইতি তরুণকে কুকি বিপ্লবী আর্মির (ইউ) ক্যাডাররা হত্যা করেছে। যদিও পুলিশ এখনো লাশের সন্ধান পায়নি।