লকডাউন মানা নিয়ে বিবাদ। তার জেরে হাত খোয়ালেন পঞ্জাব পুলিশের এক কর্মী। পাতিয়ালা জেলার সানাওর শহরের এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে। জানা গিয়েছে কয়েকজন নিহাং শিখের কাছে কার্ফু পাস দেখতে চান এই পুলিশকর্মী। তখনই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। নিহাং শিখ অর্থাত্ হাতে তরোয়াল নিয়ে ঘোরেন শিখ সম্প্রদায়ের যেসব মানুষ।
রবিবার সকাল ৬.১৫ নাগাদ এই হামলা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় গ্রামের গুরুদ্বারা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজন সরাসরি হামলায় যুক্ত। জানা গিয়েছে বাজারে ব্যারিকেড লাগানো ছিল। কার্ফু পাস ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জনা পাঁচেক নিহাং গাড়ি করে ওই সব্জি মান্ডির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের থামায় পুলিশ। কিন্তু গেট ও ব্যারিকেডে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারে তারা। এরপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে দুস্কৃতীরা।
তরবারির আঘাতে হাত কেটে যায় এএসআই হরজিত সিংয়ের। আহত হন আরও দুই পুলিশকর্মী। তাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে PGIMER-এ তাঁকে রেফার করা হয়। সেখানে অপারেশন চলছে হরজিতের।
পাতিয়ালার এসএসপি মনদীপ সিং সিধু বলেন যে বেশ কয়েকটি পুলিশ টিম গিয়ে গুরুদ্বারা থেকে লুকিয়ে থাকা নিহাংদের বার করেছে। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি দিনকার গুপ্তা। তিনি জানিয়েছে চন্ডিগড়ে হাসপাতাল ডিরেক্টরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। খুব ভালো প্লাস্টিক সার্জেনের আন্ডারে ভর্তি হয়েছেন হরজিত।