অসমে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় কংগ্রেস নেতাদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কংগ্রেসে নেতা আহত হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তবে সেই ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এনেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সিআইডি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে তলব করেছে অসমের সিআইডি। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় ১১ জন নেতাকে তলব করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অসমে ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় 'হামলা', আহত কংগ্রেস সভাপতি
রাহুল গান্ধী ছাড়া আরও যেসব নেতাকে সমন করা হয়েছে তাঁরা হলেন-কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এবং জিতেন্দ্র সিং, অসম কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা, সাংসদ গৌরব গগৈ, অসম বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া প্রমুখ। এছাড়াও, যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি বিভি শ্রীনিবাস এবং ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া-এর ইনচার্জ কানহাইয়া কুমারকেও সমন জারি করা হয়েছে। সিআইডির নির্দেশ অনুযায়ী, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪১ এ (১) ধারার অধীনে সমন জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, ষড়যন্ত্রসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে সিআইডি। সিআইডির নির্দেশে আরও লিখেছে, ঘটনার তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টার সময় উলুবাড়ি থানায় তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সিআইডি সমনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। দেবব্রত সাইকিয়া বলেছেন, ‘কংগ্রেসের উপর হামলা চালানো হয়েছে অবশ্য অথচ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। এটি আপত্তিকর। এসব করে তারা আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চায়, তারা আমাদের নেতাদের হয়রানি করতে চায়। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে সিআইডি ডেকেছে যখন আমাদের যেতেই হবে। আমাদের কথা বলতেই হবে, আমরা আইনকে সম্মান করি। কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নামে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সরকারের নীতির শান্তিপূর্ণ সমালোচনার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে, এটা দুঃখজনক।’ উল্লেখ্য অসমে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করেছিল গত ১৮ জানুয়ারি। তারপরে অশান্তি বাঁধে।