দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়ার ডাক দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সুসংহত পরিবার পরিকল্পনার কথা বলেন।
এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান,‘সব গরিব মানুষের জন্য সরকার কাজ করছে।কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে।দারিদ্রতা, অশিক্ষা ও উপযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা না থাকার কারণেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’ অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের তরফে মহিলাদের আরও বেশি করে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়।এদিন অসম সরকারের তরফে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জানানো হয়, তাঁরা যেন এই বিষয়ে আত্মনিরীক্ষণ করেন ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাঁদের সম্প্রদায়ের মানুষকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করতে পারেন।
সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।যেহেতু অসমে একটা বড় অংশের মানুষ রয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, তাঁদের বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।অসমে সিএএ বা এনআরসির কাজ এগোবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।অসমে এনআরসিতে খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছিল, তাতে ১৯ লাখের নাম বাদ গিয়েছেন।এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের।তবে সেই তালিকার মধ্যেও যথেষ্ট ক্রুটি ছিল বলে দাবি।