ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল তিন জওয়ানের। ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজাপুর-সুকমা সীমান্তবর্তী জোনাগুডা এবং আলিগুডায় গুলির লড়াইয়ে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন জওয়ান। বস্তার রেঞ্জের আইজিপি (ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) পি সুন্দরাজ জানিয়েছেন, বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় তেকালগুডেম গ্রামের কাছে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন জওয়ানরা। সেইসময় মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। যেখানে গুলির লড়াই হয়েছে, সেখানে ২০২১ সালে ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেস তৈরির জন্য যখন ২০১ ব্যাটেলিয়নের কোবরা (কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন অফ রেসোলিউট অ্যাকশন) জওয়ান এবং ১৫০ ব্যাটেলিয়নের সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) জওয়ানরা কাজ করছিলেন, সেইসময় মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দুপুর একটা নাগাদ থেকে গুলির লড়াই চলতে থাকে। প্রাথমিকভাবে দু'জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আরও এক জওয়ানের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: Republic Day: মাওবাদী বিরোধী অভিযানে হারিয়েছেন পা, শৌর্যচক্রে ভূষিত এই সাহসী অফিসার
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে মাওবাদীদের যোগ্য জবাব দিতে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছেন কম্যান্ডোরা। আহত জওয়ানদের উদ্ধার করার জন্য হেলিকপ্টার আনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সামরিক পরিভাষায় 'ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেস' বলতে সেইসব শিবিরকে বোঝানো হয়, যেগুলি মাওবাদী-প্রভাবিত এলাকার একেবারে ভিতরের দিকে তৈরি করা হয়। তাতে জওয়ানরা থাকেন। আর কোবরা হল সিআরপিএফের বিশেষ ইউনিট, যে বাহিনী জঙ্গলে লড়তে দক্ষ।
২০২১ সালে ছত্তিশগড়ের হামলায় কী হয়েছিল?
আজ থেকে বছরতিনেক আগে সেই ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১ সালের এপ্রিলে বিজাপুর-সুকমার তেকালগুডেম গ্রামের কাছে জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই ঘটনায় ২২ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর যে চার্জশিট দাখিল করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), তাতে ২৩ জনের নাম ছিল। নাম ছিল একাধিক মাওবাদীর। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অংশ হিসেবে সেই হামলা চালানো হয়েছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছিলেন, 'ওরা একজন কোবরা জওয়ানকে অপহরণ করেছিল এবং তাঁর অস্ত্র লুঠ করে নিয়েছিল।'
আরও পড়ুন: তুমুল গুলির লড়াইয়ে নিকেশ তিন, বস্তারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার দু’জন মহিলা মাওবাদীর দেহ