ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে দু’জন মহিলা মাওবাদী। তুমুল গুলির লড়াই শুরু হয় মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর। আর তাতেই দু’জন মহিলা মাওবাদী এবং এক পুরুষ মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। বস্তারের অন্তর্গত বীজাপুরের জঙ্গলে এই গুলির লড়াই সংগঠিত হয়। রাত পোহালেই রামমন্দির উদ্বোধন। তারপরই নেতাজির জন্মজয়ন্তী। এই দুটি পেরিয়েই চলে আসবে সাধারণতন্ত্র দিবস। তাই বাড়তি নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছিল। তখনই নেমে আসে মাওবাদীদের হামলা। যার জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তার জেরে খতম হয় এই তিন মাওবাদী।
এদিকে বীজাপুর জেলার বাসাগুড়া জঙ্গল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দলের অভিযান চলাকালীন নেদ্রা গ্রামের কাছে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। বীজাপুর জেলার পুলিশ সূত্রে এই খবর মিলেছে শনিবার। কিন্তু এই সংঘর্ষের রেশ রয়ে গিয়েছে রবিবারও। সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আবার বুঝি গুলির শব্দে কেঁপে উঠল জঙ্গল সহ গোটা বীজাপুর। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই খবর চালান করে দেওয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। মাওবাদীরা এখানে ঘাঁটি গেড়েছে এবং নাশকতার ছক কষছে। এই খবর পাওয়ার পরই অপারেশনে নামা হয়। আর তাতেই তিন মাওবাদী খতম হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ গোপন সূত্রে পাওয়া খবর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পৌঁছে দিতেই নেমে পড়া হয় অপারেশনে। এক মুহূর্ত সময় অপচয় করা হয়নি। পুলিশ খবর দেয়, ৩০ জন মাওবাদী অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বীজাপুরের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। সেখান থেকে কোনও নাশকতার ছক কষছে তারা। তখনই ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং কোবরা বাহিনী যৌথভাবে অপারেশনে নেমে পড়ে। জঙ্গলের মধ্যে কিছুটা প্রবেশ করতেই তেড়েফুঁড়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। প্রথমে কিছু হকচকিয়ে গেলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেয় কোবরা বাহিনী। তুমুল গুলির লড়াইয়ে খতম হয় তিনজন মাওবাদী। বাকিরা গা–ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জের জবাব দিল রাজ্য সরকার, দায়িত্ব নিলেন ধূপগুড়ির নতুন মহকুমাশাসক
তবে জঙ্গল ঘিরে ফেলেছে রিজার্ভ গার্ড এবং কোবরা বাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে। আর মাওবাদীরা একটু পিছিয়ে গেলেও তারা আবার হামলা করতে পারে বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই জঙ্গলটি তেলাঙ্গানার সীমান্তে অবস্থিত। তিনজন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি রাইফেল, জিলেটিন স্টিক এবং ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে। মাওবাদীরা এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার হামলা করেনি। তবে নিরাপত্তা বাহিনী অতন্দ্র প্রহরীর মতো নজর রেখেছে।