গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহ আয়োজিত হয়েছে। এরপর থেকে ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশের রামনগরীর অযোধ্যায় রামমন্দিরে ভক্তের সংখ্যা। সদ্য শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রে ট্রাস্ট এই ভক্তের সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলেছে। প্রসঙ্গত, সামনেই আসছে রামনবমী। তার আগে, মার্চ থেকেই অযোধ্যার রামমন্দিরে বিপুল ভক্ত সমাগম দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ রয়েছে রামনবমী। তার আগে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় লাখ ভক্তের সমাগম হতে শুরু করেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। এদিকে, রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে, মন্দিরে প্রবেশ ও দর্শনের বিশেষ নিয়মের কথা। দেখে নেওয়া যাক, রামমন্দিরে দর্শনের সময় ও বিভিন্ন নিয়মাবলী।
রামমন্দিরে দর্শনের সময় ও নিয়ম:-
শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ থেকে দেড়লাভ ভক্তের সমাগম হচ্ছে রাম মন্দিরে। ট্রাস্ট জানাচ্ছে, যাঁরা রামমন্দিরে রামলালার দর্শন ও আরতিতে অংশ নিতে চান, তাঁদের জন্য কিছু গাইডলাইন। অযোধ্যার শ্রীরামমন্দির সকাল ৬.৩০ তে খুলছে, আর তা রাত ৯.৩০ মিনিটে বন্ধ হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভক্তরা রামলালার দর্শনে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। ট্রাস্ট বলছে, মন্দিরে প্রবেশ আর তা থেকে বাহির হওয়া খুবই সাধারণ কিছু পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রামলালার দর্শনে ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট সময় লাগছে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে দর্শনের আগে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম।
ট্রাস্টের তরফে পরামর্শ দিয়ে বলা হচ্ছে, ভক্তরা যাতে তাঁদের পার্স, জুতো, মোবাইল ও ব্যক্তিগত দরকারি জিনিস মন্দির চত্বরের বাইরে রেখে আসেন। এর ফলে দর্শনের ক্ষেত্রে সময় খানিকটা বাঁচবে। আর ভক্তরা খুব সহজে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়াও বলা হচ্ছে, ভক্তরা যাতে কোনও ফুল, মালা, প্রসাদ না নিয়ে আসেন মন্দিরের ভিতর। এই গাইডলাইনেই বলা হয়েছে, মন্দিরে আরতির সময় কখন থেকে শুরু হবে। ট্রাস্ট জানিয়েছে, মন্দিরে মঙ্গলরাতির সময় শুরু হবে ভোর ৪ টেয়। শ্রীঙ্গার আরতি ভোর ৬.১৫ মিনিটে শুরু হবে। শয়ন আরতি রাত ১০ টায় হয়। তবে এই শয়ন আরতি দেখতে হলে আলাদা করে এন্ট্রি পাস লাগবে। তবে এই শয়ন আরতি বাদে বাকি আরতি দেখার জন্য কোনও এন্ট্রি পাস লাগবে না।