শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ওপার বাংলার মানুষও মেতে উঠেছে দুর্গাপুজোর উৎসবে। সেই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। আর সেই সঙ্গে দুর্গোৎসবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এমন ঘটনা ঘটতে না পারে তারজন্য কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসন। মণ্ডপগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কোনও ধরনের গুজব রুখতে তৎপর সেদেশের সরকার। সেক্ষেত্রে কেউ গুজব রটালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এ বছর বেড়েছে দুর্গাপুজো, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, কেউ দুর্গোৎসবে সাইবার গুজব ছড়ালে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এবিষয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারি চালাচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ইউনিট অত্যন্ত সক্রিয়। কেউ গুজব ছড়ালেই দ্রুততার সঙ্গে শনাক্ত করা হবে।প্রসঙ্গত, এবছর বাংলাদেশে গতবারের থেকে বেশি পুজো হচ্ছে। গত বছর পুজো হয়েছিল ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে আর এবার সেই জায়গায় বাংলাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপুজো হচ্ছে।
দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগেই সেখানকার হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছিলেন তাঁর সরকারের আমলে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এর আগে বলেছিলেন, শুধুমাত্র তাঁর সরকারের আমলেই সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ।আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের সংখ্যালঘুরাও নিরাপদে থাকবে।
উল্লেখ্য, দু'বছর আগে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। মণ্ডপে মণ্ডপে হামলার পাশাপাশি প্রচুর প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও বহু মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরে গত বছর দুর্গাপুজোর নিরাপত্তায় মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ও মোতায়েন করা হয়েছিল সেনাবাহিনী। এবার মণ্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। এই অবস্থায় আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পুজো শুরু হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলেন দেশের সংখ্যালঘুরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনার অন্যতম ভরসা হল দেশে সংখ্যালঘুদের অর্থাৎ হিন্দুদের ভোট। সেই কারণে আরও নিরাপত্তা দিতে তৎপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।