ডলার সংকট থেকে আমদানি খাতকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতের সঙ্গে ভারতীয় টাকায় বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। এই উদ্যোগের ফলে ভারত – বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য সুগম হবে ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সম্প্রতি ডলার সংকটের জেরে বাংলাদেশের জরুরি পণ্য আমদানিও থমকে যায়। এমনকী ডলারের ভাণ্ডারে টান পড়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এর পরই ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ভারতের সঙ্গে সরাসরি ভারতীয় টাকায় লেনদেনের সিদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনার সরকার।
পরিসংখ্যান বলছে, চিনের পর ভারতে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় সর্বোচ্চ। গত বছর বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ের ১৮.১০ শতাংশ গিয়েছে ভারতে। যার মূল্য ১,৩৬৯ কোটি ডলার। উলটে বাংলাদেশ থেকে ভারত মাত্র ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে ভারত। ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে বাংলাদেশি টাকাকে প্রথমে ডলারে রূপান্তর ও সেই ডলারকে ভারতীয় টাকায় রূপান্তর করতে বিপুল খরচ হচ্ছিল বাংলাদেশের। সেই খরচ বাঁচাতে সরাসরি ভারতীয় টাকায় লেনদেন শুরু করল তারা।
করোনা পরবর্তী সময় মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ধাপে ধাপে সুদের হার বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাঙ্কিং নিয়ামক সংস্থা ফেডেরাল রিজার্ভ। তার ফলে বেড়েছে ডলার ইনডেক্স। যে সমস্ত দেশ সুদের হারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি তাদের মুদ্রার দামের অবক্ষয় ঘটেছে। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তাই ডলারের ফাঁস থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে তারা।