দুজনেই চাকরি করেন, আর একে অপরকে বিয়ে করলেন এটা ঠিক নয়। এতে দেশের বেকার সমস্য়া কিছুতেই কমবে না। কোনও চায়ের দোকানের আড্ডায় এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে এমনটা হয়। খোদ বাংলাদেশের সংসদে একজন নির্দল সাংসদ এই প্রস্তাব তুলেছিলেন। এদিকে তাঁর এই প্রস্তাবকে ঘিরে সংসদের বাইরে ও ভেতরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি সাংসদ রেজাউল করিম। তিনি জানিয়েছেন বাবা ও মা দুজনেই কর্মরত হলে তাঁদের ছেলে মেয়েরা গৃহ পরিচারিকার অত্যাচারের শিকার হয়। ঠিক কী বলেছিলেন সাংসদ রেজাউল করিম?
‘যে সমস্ত পুরুষ চাকরি করেন তাঁরা চাকুরিরতা মহিলাদের বিয়ে করতে চান। অন্যদিকে যে মহিলারা চাকরি করেন তাঁরাও চাকুরিরত পুরুষদের বিয়ে করতে চান। এভাবে চলতে থাকলে দেশের বেকার সমস্যা কোনওদিন যাবে না।’ তবে রেজাউল করিমের এই প্রস্তাবে একেবারে হাসির রোল ওঠে সংসদ ভবনে। এমনকী আড়ালেও তাঁকে নিয়ে রসিকতা করছেন কেউ কেউ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দাবি, আমি এব্যাপারে কিছু করতে পারব না। এটা অসাংবিধানিক হয়ে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রস্তাবকে গ্রহণ করে আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার কেরিয়ারকে নষ্ট করতে চাই না। তবে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। রেজাউল করিম যা খুশি বলতেই পারেন। আসলে তিনি এই বাক্ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়েছেন। জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও নারীবাদীদের আন্দোলনের জেরে ধর্ষণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বিতর্ক জড়িয়েছিলেন। পিস্তল হাতে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার তৈরি করেও সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই সাংসদ।