বারো বছর ও তার থেকে বেশি বয়সিদের এবার টিকা দেওয়ার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিল শেখ হাসিনা সরকার। সেই সঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
বুধবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে টিকাদান কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলি ফরাজির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ‘ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসাই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম সম্প্রদায়ের মানুষদের সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যাপারেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ১২ বছর ও তার থেকে বেশি বয়সিদের মধ্যে টিকাদান যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার এগোচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ‘১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মাসে যাতে এক কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর থেকে মাসে দুই কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি ডোজ দেওয়া শেষ হয়ে যাবে।’
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৫৪৪ দিন পর স্কুল খুলে গিয়েছে। করোনা বিধি মেনেই বাংলাদেশে স্কুল খুলে দেওয়া হয়। তবে স্কুল খুলে দিলেও স্কুলে যাতে স্বাস্থ্য বিধি ঠিকভাবে মানা হয়, সেই বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। তবে এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিমান পরিষেবাও শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রমেই করোনা পরিস্থিতিকে সামাল দিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করেছে ওপার বাংলা।