সেরাম থেকে টিকা রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার চিন থেকে করোনার টিকা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতোই শুক্রবার রাতে চিন থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাচ্ছে সিনোফার্ম টিকা। প্রথম দফায় ১১ লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। ইতিমধ্যে টিকার ঘাটতি মেটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে হাসিনার সরকারের। সেই টিকাও দ্রুত নিয়ে আসা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ‘আগামিকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক মডার্নার ১২ লাখ ডোজ আসবে। এই দিনই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সিনোফার্মের ১১ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ বাংলাদেশে আসবে। পরের দিন ৩ জুলাই মডার্নার আরও ১৩ লাখ ডোজ চলবে আসছে। আর ওইদিনই ভোর ৫টার দিকে সিনোফার্মের আরও ৯ লাখ ডোজ চলে আসবে। সব মিলিয়ে দুই দিনে বাংলাদেশের আলাদা দুই ধরনের টিকার ৪৫ লাখ ডোজ চলে আসবে।’
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছে দেবে। অন্যদিকে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ নিজেই সেই দেশ থেকে নিয়ে আসবে। এর আগে যে সব ভ্যাকসিন দেশে আনার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, এর মধ্যে রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের একটি মাত্র ডোজই করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরী হওয়ায় বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনের। বাংলাদেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে করোনা যে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে, সেকথা এখনই বলা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে টিকাদানে আরও গতি আনতে চাইছে হাসিনা সরকার। সেই কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে মজুত করা হচ্ছে।