২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সুরোলোকে চলে যান লোকসঙ্গীতের সম্রাট। প্রয়াত হন বাউল শাহ করিম। গতকাল তাঁর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হল। এই মহান শিল্পী আজও শায়িত আছেন তাঁর গ্রামে কালনা নদীর তীরে। পাশেই কবরে শায়িত আছেন তাঁর স্ত্রীও।
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকে পারিবারিক ভাবে স্মরণ করা হয়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁর সমাধিতে। আসর বসে করিমগীতের।
১৯১৬ সালে তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে। আর সেই অভাবের কারণেই কোনদিন তিনি সুযোগ পাননি প্রথাগত শিক্ষা অর্জন করার। কয়েকদিন অবশ্য একটি নাইটস্কুলে পাঠদান করেছিলেন শাহ আব্দুল করিম। রাখালের কাজ করেছিলেন তিনি সংসারের জন্য।
কিন্তু সঙ্গীত চিরকাল তাঁর সঙ্গে ছিল। যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি এই সমাজের নিপীড়িত, দরিদ্র মানুষদের জন্য গান বেঁধেছেন। তাঁর গান অস্ত্র হিসেবে গর্জে উঠেছে ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, ইত্যাদির বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর গান খালি গলায় দরাজ ভাবে গাইতেন। তাঁদের অনুপ্রেরণা জোগাতো শাহ আব্দুল করিমের গান। তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির ধরে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। তিনি ২০০১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। দেশ বিদেশের নানান জায়গায় তাঁর গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গানের উপর তাঁর প্রথম বই হল আফতাব সঙ্গীত।