কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির একটি যৌথ ফোরাম ২৮ এবং ২৯ মার্চ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সংগঠনগুলিও এই বনধে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছে। শ্রমিক, কৃষক এবং জনগণকে প্রভাবিত করে এমন সব সরকারী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই বনধের ডাক। আর তাতেই যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলির। এর ফলে সোমবার ও মঙ্গলবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ) বলেছে যে সংগঠনটি বর্ধিত বেকারত্ব, কম মজুরি, সরকারী খাতের ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণের প্রতিবাদ জানায়। তাই তারা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দেবে। এরই মধ্যে ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল-এর প্রতিবাদেও সরব হয়েছে সংগঠন। এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই ধ্বংসাত্মক এবং বিপর্যয়কর কর্পোরেট চালিত শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ প্ল্যাটফর্মকে প্রথম সারিতে দাঁড়িযে সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা নিতে হবে এই প্রতিরোধে।’ এদিকে পশ্চিমবঙ্গে সরকার বলেছে যে রাজ্যের সমস্ত অফিস এই দিনগুলিতে খোলা থাকবে এবং কর্মচারীরা অফিসে রিপোর্ট করতে বাধ্য হবেন।
ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (বিইএফআই) এবং অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিওএ)-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ইউনিয়নগুলিও এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে। এই আবহে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনুরূপ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের কারণে সোমবার ও মঙ্গলবার পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।