বিলকিস বানো মামলা। সেই গণধর্ষণের মামলায় ১১জন সাজাপ্রাপ্তকে আগাম জেল থেকে মুক্তি বা সাজা মকুব করা( Remission) হয়েছিল।। এরপর এনিয়ে ফের মামলা হয়। কেন তাদের এভাবে আগাম জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে সাজাপ্রাপ্তদের কি আগাম মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও মৌলিক অধিকার রয়েছে?
বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, এভাবে সাজা থেকে অব্যহতি পাওয়া এটা কি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে? এটা কি সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে? প্রসঙ্গত এই ৩২ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকারের বাধা তৈরি হলে তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।
ওই আইনজীবী মুক্তিপ্রাপ্ত ১১জনের মধ্যে ১জনের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, এটা সাজাপ্রাপ্তদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
অপর এক আইনজীবী অন্য সাজাপ্রাপ্তর পক্ষে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের ক্ষমতা রয়েছে হেবিয়াস কর্পাস বা কোনও নির্দেশ ইস্যু করা কোনও সরকারকে বা কোনও ব্যক্তিকে যাতে তার মৌলিক অধিকার ঠিকঠাক থাকে।
এবার বিচারপতিদের বেঞ্চের প্রশ্ন, সব নিয়ম মেনে এই মুক্তি মিলেছে এটা আপনাদের কে বলল?
তবে আইনজীবী জানিয়েছেন, যদি সত্যি এটা প্রশ্ন হয়ে থাকে তবে সেটা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যায়। সেটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি না আসলেও চলে। এদিকে এক আইনজীবী জানিয়েছিলেন, কোনও ব্যক্তি যদি মুক্তি পেয়ে যান তবে সেটা ঠিক না ভুল সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টেরও নেই। তবে এটা মানতে চায়নি আদালত। এই সাবমিশন খারিজ করে দেওয়া হয়।
গুজরাটে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এরপর এনিয়ে মামলা শুরু হয়। সেই মামলায় অন্তত ১১জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে তারা পরে আগাম জেল থেকে মুক্তিও পান।
এবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এটা আবার কি ঠিক না ভুল এটা বলছেন? ওদের যে সাজা দেওয়া হয়েছিল সেটা একেবারে ঠিক ছিল।