স্টারবাকস-এ এক এক কাপ কফির দাম প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই কফি অনেকেই পছন্দ করেন, খান। আবার অনেক মধ্যবিত্তের কথায়, 'বড্ড দাম'। তবে অবস্থাপন্ন বা ধনীদের কাছে ৩০০ টাকার কফি কিছুই না। আর যদি পাঁচতারা হোটেলে কফি খেতে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। তবে এ তো গেল কলকাতার মধ্যবিত্ত বা কোটিপতিদের কথা। তবে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির স্ত্রী কি কফির দাম নিয়ে অত ভাবেন? 'যত দামই হোক, তাতে তার কী?' এটাই ভাবছেন? ভুল ভাবছেন। কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়া হয়ত অনতসত না ভেবেই যেকোনও রেস্তোঁরা থেকে ৩০০ টাকা দামের কফি খেতে পারেন। তবে এক কাপ কফির দাম ৩০০ টাকা শুনে হতবাক ওয়ারেন বাফেটের স্ত্রী।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আমেরিকার ইডাহো প্রদেশের সান ভ্যালিতে 'ধনকুবেরদের সামার ক্যাম্প'-এ অংশ নিয়েছিলেন ওয়ারেন বাফেট এবং তাঁর স্ত্রী। এককালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন ওয়ারেন বাফেট। বর্তমানে ধনীদের তালিকায় তিনি সপ্তম স্থানে। ৯২ বছর বয়সি ধনকুবেরের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১১৪ বিলিয়ন ডলার। বিগত দিনে তিনি ৫১ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন খাতে দান করেছেন। নয়ত, আজ তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আরও হত। আর সেই ওয়ারেন বাফেটের স্ত্রী অ্যাস্ট্রিড কি না এক কাপ কফির দাম ৩০০ টাকা শুনে আতকে ওঠেন। জানা গিয়েছে, যেখানে সামার ক্যাম্পটি হয়, তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল অ্যালেন অ্যান্ড কোম্পানি। সেই সংস্থার এক কর্মীর কাছেই এই নিয়ে নালিশ করেন অ্যাস্ট্রিড। সেখানে নাকি এক কাপ কফির দাম ছিল ৪ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩২৮ টাকা। তা শুনে অ্যাস্ট্রিড বলেন, 'এতে তো এক পাউন্ড (প্রায় ৪৫০ গ্রাম বা আধা কেজি) কফি হয়ে যাবে!'
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট চিরকালই তাঁর অতিসাধারণ জীবন ধারনের জন্য পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৮ সালে ৩১,৫০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৬ লাখ টাকা) কেনা বাড়িতেই চিরকাল থেকে গিয়েছেন। স্থানীয় ম্যাকডনাল্ডসে গিয়ে খান। কোনও ফাইন ডাইনিং রেস্তোঁরায় তাঁকে সেভাবে দেখা যায় না। নতুন চকচকের বদলে পুরনো গাড়ি কিনতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০০৬ সালে অ্যাস্ট্রিডের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওয়ারেনের। সেই সময় ওয়ারেনের বয়স ছিল ৭৬, অ্যাস্ট্রিডের ৬০। স্বামী ওয়ারেনের মতোই সাধারণ জীবনযাপন পছন্দ করেন অ্যাস্ট্রিড। এক কাপ কফির দাম ৩০০ টাকা শুনে তাঁর হতবাক হওয়ার এর প্রমাণ।