একদিকে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে আর নিজেদের আটকে রাখতে না পেরে ফের আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিল বিজেপি বলে অভিযোগ। সুতরাং ত্রিপুরার মাটিতে ফের আক্রান্ত হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের উপর হামলা নামিয়ে আনল বিজেপি বলে অভিযোগ উঠেছে। আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ হামলার পর থেকেই নিখোঁজ সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত নামে এক ছাত্রী।
শনিবার ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগেই হামলা নামিয়ে আনা হল। যাতে বড় করে সেখানে অনুষ্ঠান করার সাহস না দেখায়। এবার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরাতেও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা একপ্রকার বড় ইস্যু। তা খতিয়ে দেখতে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে গিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এটাই সহ্য করতে না পেরে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার পর থেকেই সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত নামে এক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কী তাঁকে অপহরণ করা হল? উঠছে প্রশ্ন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজের পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ। এমনকী ছাত্রীকে খুঁজতে সাহায্য পর্যন্ত করছে না। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির পা কাঁপছে বলেই হামলা বাড়ছে। আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে।’ আজ ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ–সহ কয়েকজন কলকাতায় এসেছেন। যে কোনও মুহূর্তে তৃমমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।