সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। ভাইরাল সেই ছবিতে দাবি করা হচ্ছে যে দলিত বিজেপি সাংসদকে মিজের পা ছুঁতে দেননি শঙ্করাচার্য। রবীন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়া সাধুকে অভিবাদন করছেন। সেই সময় নিজের পা শূন্যে নিয়ে রেখেছেন সেই সাধু। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাধুকে কিছু উপহার দিচ্ছেন সাংসদ।
এই ছবিগুলির উপরে ক্যাপশনে রবীন্দ্র সিং লিখেছেন- হিন্দু ধর্মে এটাই দলিতদের মর্যাদা। তিনি সাংসদ, বিধায়ক, জেলাশাসক বা পুলিশ সুপার যেই হন না কেন, তিনি অস্পৃশ্যই থাকবেন। একজন ব্রাহ্মণ হিন্দু শঙ্করাচার্য তারই প্রমাণ দিলেন। ইটাওয়ার দলিত হিন্দু সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়াজি তাঁর পা স্পর্শ করলে শঙ্করাচার্য অপবিত্র হয়ে যাবেন। সাংসদ হয়েও তাই মাটিতে বসে আছেন রামশঙ্কর। কেন বাবাসাহেব এই দলিতদের রাজনীতিতে রিজার্ভেশন দিলেন, এই সমাজকে দাস থাকতে দিলেন?
ছবির সত্যতা জানতে লাইভ হিন্দুস্তানের ফ্যাক্ট চেক টিম বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। দেখা যাচ্ছে ছবিটি সত্যিকারের। কিন্তু এই ছবির সাথে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়া নিজেই এই দাবিকে ভুয়ো বলে অভিহিত করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে লাইভ হিন্দুস্তানের দল সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়ার ফেসবুক পেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে তিনি নিজেই এই ছবি এবং এর সাথে সম্পর্কিত দাবি সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়া ফেসবুকে লিখেছেন – ১৫ থেকে ২২ মে ইটাওয়ার নাগরিয়া-সারাওয়াতে শ্রীমদ ভাগবত পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে বৃন্দাবনের ডঃ শ্যামসুন্দর পরাশরজি কথক ছিলেন। ১৬ মার্চ আমি পুরী শঙ্করাচার্যজি শ্রী নিসলানন্দ সরস্বতীজিকে সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলাম। ওই সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম ১ ঘণ্টা। তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি। গণমাধ্যমে যা দেখানো হচ্ছে, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি এই ভুয়ো পোস্টের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই সব ভুয়ো বিষয় দেখাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়ার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে ছবি নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর।