বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Electoral bonds: পাঁচ বছরে নির্বাচনী বন্ডের ৫৭ শতাংশ পেয়েছে বিজেপি, তৃণমূল কত?

Electoral bonds: পাঁচ বছরে নির্বাচনী বন্ডের ৫৭ শতাংশ পেয়েছে বিজেপি, তৃণমূল কত?

২০২২ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হিসাব অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের থেকে গেরুয়া শিবিরের আয় হয়েছে ১,০৩৩ কোটি টাকা।

রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার অর্থ প্রদানের বিষয়ে স্বচ্ছতা নির্বাচনী বন্ডে ব্যবস্থা চালু করা হয়। কেন্দ্রে মোদী সরকারের হাত ধরেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয় ২০১৭ সালে।

২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিক্রি হওয়া নির্বাচনী বন্ডের টাকা গিয়েছে বিজেপির তহবিলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান কংগ্রেস ও তৃণমূল থাকলেও বিজেপির তুলনায় তাদের প্রাপ্ত অনুদান চোখে লাগার মতো কম। নির্বাচন কমিশনে ওয়েবসাইটে বন্ড সংক্রান্ত হিসাব জমা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

২০২২ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হিসাব অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের থেকে গেরুয়া শিবিরের আয় হয়েছে ১,০৩৩ কোটি টাকা। ২০২১, ২০২০, ২০১৯ সালে আয় হয়েছে যথাক্রমে ২২.৩৮ কোটি, ২,৫৫৫ কোটি এবং ১,৪৫ কোটি টাকা। এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্য ২০১৮ সালে বিজেপি আয় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আয় হয়েছে ৫,২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯,২০৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে।  

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ২০২১-২২ সালে নির্বাচনী বন্ড থেকে আয় করেছে ৫২৮ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২১, ২০২২ এবং ২০১৯ সালে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যে যথাক্রমে ৪২, ১০০ এবং ৯৭ কোটি টাকা। নির্বাচন বন্ডের মাধ্যমে সব মিলিয়ে  দল পেয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা যা কিনা মোট বিক্রির ৮ শতাংশ। 

তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। গত অর্থবর্ষে তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২৫৩ কোটি টাকা তুলতে পেরেছে। ২০২১ সালে ১০ কোটি, ২০২০ সালে ৩১৭ কোটি এবং ২০১৯ সালে ৩৮৩ কোটি টাকা তারা তহবিল সংগ্রহ করতে পরেছে। সে দিকে থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কংগ্রেসের আয় ক্রমশ কমছে।  কমিশনের ওয়েবসাইটে তারা ঘোষণা করছে গত তারা দেশের বাইরে থেকে কোনও অনুদাই পায়নি।

রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার অর্থ প্রদানের বিষয়ে স্বচ্ছতা নির্বাচনী বন্ডে ব্যবস্থা চালু করা হয়। কেন্দ্রে মোদী সরকারের হাত ধরেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু পরের বছর ২০১৮ সালে এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। সমালোচকদের বক্তব্য বন্ড বিক্রি হয় একটি নির্দিষ্ট সরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। ফলে শাসকদল খুব সহজে জানতে পেরে যাবে বিরোধীদের কারা টাকা দিচ্ছে। 

বছরে চারবার নির্বাচনী বিক্রি হয় (জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবরে)। সরকারের নোটিশ দেওয়ার পর ১০ দিন সময় থাকে বন্ড কেনার। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই এই বন্ড বিক্রি হয়। যদি রাজনৈতিক দলগুলি দেশের ১০টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এর টাকা তুলতে পারে।  নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে হলে সাধারণ নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে অন্তত ১ শতাংশ ভোটে পেতে হয়।  

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন