‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র জন্য দেশ জুড়ে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। যাদের বলা হচ্ছে ‘রথ প্রভারী’। সরকারি আমলাদের এই বিশেষ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার এ নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারি আমলা এবং সেনাদের ‘রাজনৈতিক কর্মী’ এবং বিজেপির ‘মার্কেটিং এজেন্টে’ পরিণত করার চেষ্টা করছে বলে কটাক্ষ করলেন মল্লিকার্জুন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ক্ষমতায় এলেই সঙ্গে সঙ্গে মহিলা সংরক্ষণ বিল, বড় কথা জানিয়ে দিল কংগ্রেস
গত ১৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি চালানো হবে। তার মাধ্যমে গত ৯ বছরের কেন্দ্র সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হবে। এর জন্য ৭৬৫টি জেলায় যুগ্ম সচিব, ডিরেক্টর এবং উপ সচিব স্তরের আধিকারিকদের রথ প্রভারী বা বিশেষ অফিসার হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের ওই কর্মসূচিতে আমলাদের এভাবে ব্যবহার নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর বক্তব্য, আমলাদের এভাবে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে এনিয়ে চিঠি দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকারের সমস্ত সংস্থা ‘প্রচারক’ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি আমলা এবং সেনাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর বিভাগ এবং সিবিআই ইতিমধ্যেই বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এবার বিজেপি কেন্দ্র সরকারের সমস্ত সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং বিভাগ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রচারক’।তিনি চিঠিতে এই নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, পালটা এনিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, জনগণের কাছে প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কী সমস্যা রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।