কয়েক মাস আগেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তাঁরা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে জোট ভাঙে বিজেপি-শিবসেনার। এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভিতর হাতাহাতি করলেন এই দুই প্রাক্তন শরিক দলের নেতা।
এদিন চাষীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনার সময় গণ্ডগোল বাঁধে। বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফডনবীস বলেন যে অসময়ের বৃষ্টিতে যে সব চাষীদের ফসল নষ্ট হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই নিয়ে আগে আলোচনা হোক, বলেন ফডনবীস।স্পিকার সেই দাবি মানেননি। প্রতিবাদে ওয়েলের সামনে চলে আসেন বিজেপি বিধায়করা। এর মধ্যে একজন বড় একটি ব্যানার বের করেন, যাতে শিবসেনা মুখপাত্র সামনার প্রথম পাতাটি ছাপা ছিল। সেখানে উদ্ধব ঠাকরে ঋণ মুকুব করবেন, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ছিল।
কিন্তু স্পিকার ব্যানার খুলতে দেননি। কারা এই কাজ করছেন সেই নামগুলি লিখে নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এই ব্যানারটি বার করার সঙ্গে সঙ্গে সেনা সদস্যরাও ওয়েলে নেমে আসেন ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
এর মধ্যেই প্রায় মারপিট শুরু করেন বিজেপি হরিশ পিম্পলে ও শিবসেনার
নিতিন দেশমুখ। দুজনেই আকোলার বাসিন্দা। দুই দলের বরিষ্ঠ নেতাদের তখন এই দুই বিধায়ককে শান্ত করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের জন্য বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যায়। পরে কাজ শুরু হলেও বিজেপির দাবি মানেননি স্পিকার। নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী কাজ শুরু হয়।
গতকাল সাভারকরের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে রাহুল গান্ধীর তির্যক মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। এদিন ফের গরম হাওয়া। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে আদর্শগত ভাবে ভিন্ন মেরুতে থাকা শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়েছে কংগ্রেস ও এনসিপি। কিন্তু আপাতত দুই প্রাক্তন শরিকের লড়াইতেই সরগরম মহারাষ্ট্র রাজনীতি।