নৌকা করে আসার পথে লিবিয়ার সীমান্তে নিখোঁজ অন্তত ৬১জন অভিবাসী। ইন্টারন্যাশানাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন শনিবার একথা জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে আসার পথে তাঁদের নৌকা ডুবে যায়। আর তার জেরেই জলে তলিয়ে যান তাঁরা।
প্রচন্ড ঢেউতে তাদের নৌকা ডুবে যায়। লিবিয়ার উত্তরপশ্চিম উপকূল থেকে নৌকাতে চেপে তারা আসছিলেন। জুয়ারা থেকে তারা বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আসার পথেই ভয়াবহ ঘটনা। প্রবল ঢেউতে তারা ভেসে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৮৬জন অভিবাসী ছিলেন। তাদের মধ্য়ে মহিলা, শিশুরাও ছিল। নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া, ও আফ্রিকান দেশগুলি থেকে তারা রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু পথেই এই দুর্ঘটনা।
সব মিলিয়ে ২৫জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে লিবিয়ান ডিটেনশন সেন্টারে তাদের এনে রাখা হয়। আইওএম জানিয়েছে, যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তারা আপাতত ভালোই আছেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লিবিয়া আর টিউনিসিয়া হয়ে অনেকেই ইতালি হয়ে ইউরোপে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। উত্তাল সমুদ্রের মধ্য়ে দিয়ে তারা নৌকা নিয়ে পাড়ি দেন এক দেশ থেকে অপর দেশে। এদিকে এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গত বছর বলেছিলেন অবৈধ অভিবাসন রুখতেই হবে। উত্তর আফ্রিকা থেকে দলে দলে লুকিয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা করেন অনেকেই। শনিবার রোমে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ইতালি যে চেষ্টা করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এই দুই রাষ্ট্রনেতা একটা বিষয়ে একমত যে অন্য় দেশ থেকে অভিবাসীদের নিয়ে এসে কোনও নৌকা যদি তাদের দেশের উপকূলে নোঙর ফেলে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আইওএমের মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গিয়াকোমো এক্স হ্য়ান্ডেলে লিখেছেন, মধ্য়ভূমধ্য়সাগরীয় মাইগ্রান্ট রুটে ২২৫০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন এই অবৈধভাবে আসতে গিয়ে। গত ১৪ জুন লিবিয়া থেকে ইতালিতে আসছিল একটা জাহাজ। তাতে প্রায় ৭৫০জন ছিলেন। দক্ষিণপশ্চিম গ্রিসের কাছে তা সমুদ্রে ডুবে যায়। সিরিয়া, পাকিস্তান, ইজিপ্ট থেকে লোকজনকে নিয়ে ওই জাহাজ আসছিল ইতালিতে।