বিয়ে মানেই একেবারে ঘটনাবহুল। পরতে পরতে নাটক। কখনও আবার অতিনাটকীয়তাও হয়ে যায়। তেমনই ঘটনা উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের হলদিওয়ানির বাসিন্দা পাত্রী বিয়ে করতেই অস্বীকার করলেন পাত্রকে। কারণ তাঁকে সস্তার লেহেঙ্গা দেওয়া হয়েছে। তাকে দামী লেহেঙ্গা দেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, পাত্রী জানতে পেরেছিলেন তাকে যে লেহেঙ্গাটি দেওয়া হয়েছে তার দাম মাত্র ১০,০০০ টাকা। আর তাতেই রেগে আগুন পাত্রী। মুখের উপর ছুঁড়ে দেন ওই সস্তার লেহেঙ্গা। বিয়ের আগে একেবারে তুলকালাম কাণ্ড।
তবে বরের বাড়ির লোকজনের দাবি লখনউ থেকে সুন্দর লেহেঙ্গাটি তারা কিনে এনেছেন। কিন্তু সেসব শুনতে নারাজ পাত্রী। আসলে রাণীক্ষেতের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল তরুণীর। ওই যুবক স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এদিকে গত জুন মাসেই তাঁদের মধ্যে এনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে। বিয়ের আমন্ত্রণপত্রও রেডি। আগামী ৫ নভেম্বর তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। এদিকে বিয়ের দিন লেহেঙ্গা দেখে রেগে আগুন হয়ে যান পাত্রী। তিনি বিয়েতে বেঁকে বসেন। এরপর পাত্রের বাবা এটিএম কার্ডটিও তার হাতে দিয়ে বলেন, নিজের পছন্দ মতো লেহেঙ্গা কিনে নাও। তাতেও রাগ কমেনি পাত্রীর। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আসে। পুলিশও বুঝিয়ে শান্ত করতে পারেনি।
বহু চেষ্টা করার পরেও পাত্রী রাজি না হওয়াতে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। দুই পদস্থ পুলিশ কর্তার উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।