আগামী ২৯ জানুয়ারি সংসদে শুরু হতে চলেছে বাজেট সেশন এবং ১ ফেব্রুয়ারি কোভিড অতিমারী শুরু হওয়ার পরে প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটও পেশ হতে চলেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি সংসদের উভয় কক্ষেই অধিবেশন মুলতুবি থাকবে এবং ফের ৮ মার্চ চালু হবে অধিবেনের পরবর্তী পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শেষ হবে ৮ এপ্রিল। এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে লোকসভা সচিবালয়ের দিনপঞ্জীতে।
২০১৯ সালের পরে সংসদের দু’টি অধিবেশনের মেয়াদ ছাঁটা হয় এবং শীতকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিতই হয়নি মূলত কোভিড অতিমারীর কারণে। অতিমারীতে এখনও পর্যন্ত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিন সাংসদ-সহ ভারতের দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আগামী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় বাজেট পাশ করানো, অর্থ বিল পেশ এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণ পরবর্তী বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্য দিকে, প্রবল কৃষক বিক্ষোভের উৎস তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কোমর বাঁধছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে কোভিড ব্যবস্থাপনা এবং দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিতর্কের দাবি জানাবে বিরোধী দলগুলি।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ভারতে কোভিড টিকাকরণ অভিযান শুরু হচ্ছে। সংসদীয় অধিবেশনে দেখা যাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি, মাস্ক ব্যবহার, দর্শণার্থীদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির মতো স্বাস্থ্য নিরাপত্তাজনিত প্রক্রিয়া।
বাজেট অধিবেশনে ফিরতে চলেছে মন্ত্রীদের উদ্দেশে সাংসদদের প্রশ্ন করার নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্ব বা কোয়েশ্চেন আওয়ার, জানিয়েছেন রাজ্য সভার এক আধিকারিক।
২৯ জানুয়ারি সংসদের উভয়কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। কোভিড অতিমারী ভারতে থাবা বসানোর পরে এটিই হতে চলেছে রাষ্ট্রপতির প্রথম ভাষণ। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বিধি-সহ কোভিড বিধি মেনে চলার কারণে বেশ কিছু সংখ্যক সাংসদ তাঁদের লোক সভা ও রাজ্য সভার চেম্বারে বসেই রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুনতে বাধ্য হবেন।