এতদিন উত্তরপ্রদেশে শোনা যেত বুলডোজার পলিসির কথা। যোগী রাজ্যের এই বিশেষ পদক্ষেপের কথা জানেন অনেকেই। এবার উত্তরপ্রদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বাংলাতেও শোনা যাচ্ছে সেই বুলডোজার পলিসির কথা। সেটাও আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভার মহম্মদপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এই বুলডোজার নীতি নিয়েই সুর চড়ান শুভেন্দু।
নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতি নির্বাচনে তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোথায় ভোট হয়েছে। সমবায় সমিতির ভোটে কি সাধারণ ভোটার নাকি! সব হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তির ছেলেরা ভোট দিয়েছে তাদের পার্টিকে। ওই বুথে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭০০ ভোটে লিড পেয়েছিলেন। আমার সনাতনী বুথ আমার সঙ্গে রয়েছে। ৬টা বুথে ভোট হয়েছে। ৪টে রাষ্ট্রবাদী সনাতনী বুথ আমায় ভোট দিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে সনাতনীরা ৭০-৩০ করছে। আর পাকিস্তানিরা ১০০ করছে। তাই ৫টা করে ভোটে আমাদের লোকরা হেরেছে। এই বোর্ড তো আমার ছিল না। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, এতটুকু শিক্ষা নেই। এখানকার ১১জন জেহাদি জেলে আছে। দেড় বছর হল জেলে আছে। কয়লাকে যেমন দুধে সেদ্ধ করলেও রঙের পরিবর্তন হয় না। আর কুকুরের ল্যাজ যেমন সোজা করা যায় না। তেমনি তোলামূলের গুন্ডামি বন্ধ করা যায় না। সময় আসছে উত্তরপ্রদেশের মতো বুলডোজারই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। সোজা সাপটা জানিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর মুখে ফের বুলডোজার নীতির ঘোষণা। তবে উত্তরপ্রদেশের আদলে বাংলাতেও বুলডোজার নীতির প্রয়োগ কতটা সুবিধানজনক হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন এলাকায় গিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন। গ্রামে গ্রামে আবাস যোজনায় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বজনপোষনের যে অভিযোগ উঠছে তানিয়েও এদিন সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পরামর্শ দেন, মোটর সাইকেল আছে, পাকা বাড়ি আছে এমন লোকের নাম আবাস যোজনায় যুক্ত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাড়ির লোকজনের নামও আবাস যোজনায় যুক্ত করা হয়েছে। আপনারা এবার এনিয়ে শক্ত থাকুন।
এদিন অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি। এরপরই তিনি তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন।