শীঘ্রই বাজারে আসতে পারে Aakash এডুকেশনাল সার্ভিসেসের শেয়ার। IPO-র পরিকল্পনা শুরু করেছে Byju's।
Byju's এই বিষয়ে চারটি বিদেশি ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সেগুলি হল, জেপি মর্গ্যান চেস, সিটি গ্রুপ, গোল্ডম্যান স্যাকস এবং মরগ্যান স্ট্যানলি। এর পাশাপাশি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ও কোটাক মাহিন্দ্রার মতো ভারতীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই সংস্থার ভ্যালুয়েশন ৩-৪ বিলিনয় স্থির করতে পারে Byju's।
আরও পড়ুন: Lionel Messi Byju's: 'লোকসানে'র জন্য কর্মী ছাঁটাই করে মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করল Byju's
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই বাইজুস ব্যাঙ্ক নির্বাচন সেরে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর রেড হেরিং প্রসপেকটাস পেশ হতে পারে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর আগামী বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ IPO হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আকাশ: প্রায় ৩০ বছরের পুরনো কোচিং সংস্থা আকাশ। দেশজুড়ে প্রায় ২০০টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। মূলত জয়েন্ট এন্ট্রান্স, NEET-এর মতো প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত বছর ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে আকাশ কিনে নেয় বাইজুস। আকাশও লকডাউনের সময় থেকে অনলাইন টিউশন পরিষেবার ক্ষেত্রে নজর দিয়েছে।
এই আইপিও-র বিষয়ে বাইজুসের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। একইভাবে উল্লেখিত ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও কিছু জানাতে চাননি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ২,৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করে বাইজুস। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে সংস্থার। ২০২৩ সালের মধ্যেই লাভজনক সংস্থায় পরিণত হতে চায় বাইজুস। আর সেই কারণেই খরচ কমানোর দাবি করে তারা। কর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠিও দেন সংস্থার সিইও।
আরও পড়ুন: BYJUs CEO seeks forgiveness: লাভের জন্য ২,৫০০ কর্মীকে ছাঁটাই! ইমেল করে ক্ষমা চাইলেন BYJU's-র সিইও
এদিকে এই ছাঁটাই ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায়, ৪ নভেম্বর লিওনেল মেসিকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করে বাইজুস। লোকসান, খরচ কমানোর প্রচেষ্টা, ছাঁটাইয়ের মধ্যেও কীভাবে বিশ্বখ্যাত ফুটবলারকে স্পনসর করা হল, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
২০২০-২১ সালে বিপুল লোকসানের রিপোর্ট প্রকাশ করে বাইজুস। তারপরেই বাইজু-র বিনিয়োগকারীরা সংস্থার খরচে রাশ টানার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। FY21-তে মোট ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৫৮৯ কোটি টাকা। ফাইলিং অনুযায়ী FY21-এ বিজ্ঞাপন এবং বিপণনের জন্য ২,৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে।