সুপ্রিম কোর্ট বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি লাইট মোটর ভেহিকেলের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন তবে কি তিনি আইনগতভাবে একটি নির্দিষ্ট ওজনের যান চালক হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন? এনিয়ে আইনের পরিবর্তন করা যায় কি না সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ এর সঙ্গে বহু মানুষের রুটি রুজির সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানবিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ সরকারকে জানিয়েছে, এটা নিয়ে নতুন করে এবার ভেবে দেখুন।
মাস দুয়েকের মধ্য়ে এনিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই পথ নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের মতামত এক্ষেত্রে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এর আগে মুকুন্দ দেওয়ানগান বনাম ওরিয়েন্টাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মামলায় ২০১৭ সালে দেশের শীর্ষ আদালত বিশেষ রায় দিয়েছিল।
এর আগে ওই মামলায় তিনজন বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল মালবহনকারী গাড়ি যেগুলির ওজন ৭৫০০ কেজির বেশি নয় সেগুলিকে লাইট মোটর ভেহিকেলের বাইরে রাখা যাবে না।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, লাখ লাখ চালক গোটা দেশে ওই দেওয়ানগান রায়ের উপর কাজ করে যাচ্ছেন। এটা সাংবিধানিক কোনও ব্যাপার নয়। এটা শুধু আইনের ব্যাপার নয়। এর সঙ্গে সামাজিক প্রভাবের একটা ব্যাপার রয়েছে। কোনও সামাজির পলিসিকে আমরা সাংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে রায় দিতে পারি না।
মূলত যে বিষয়টি নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ বলছে সেটা হল…কোনও ব্যক্তির হয়তো লাইট মোটর ভেহিকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে, সেই লাইসেন্স দেখিয়ে কি তিনি লাইট মোটর ভেহিকেল শ্রেণির কোনও মালপত্র বহনকারী যান যার ওজন ৭৫০০ কেজির বেশি নয় সেটা চালাতে পারবেন?
কারণ দেখা যাচ্ছে এলএমভির লাইসেন্স রয়েছে এমন কেউ যদি কোনও মালপত্র বহনকারী গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তবে তার বিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে। সেখানে কেন্দ্রকে তার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
এদিকে এলএমভি লাইসেন্স দেওয়া হয় ১৮ বছর বয়সিদেরও। তবে ট্রান্সপোর্ট গাড়ি চালাতে গেলে ২০ বছর হতে হয় লাইসেন্স পাওয়ার জন্য। ২০ বছরের জন্য এলএমভি লাইসেন্স মেলে। কিন্তু ট্রান্সপোর্ট লাইসেন্সের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষার দরকার। মাত্র ৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স মেলে।