১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার পদ দেওয়ার টোপ! সেই দুষ্টচক্রের পর্দাফাঁস করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ভয়াবহ প্রতারণার চক্র। শুধু রাজ্যসভার আসনই নয়, বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চেয়ারম্যান করে দেওয়ার টোপও দিত ওই প্রতারণা চক্র। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনকে পাকড়াও করা হয়েছে।
১৫ জুলাই এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের লাতুরের কমলাকর প্রেমকুমার বঙ্গর, কর্ণাটকের রবীন্দ্র ভিথাল নায়েক, দিল্লির মহেন্দ্র পাল অরোরা, অভিষেক বোরা ও মহম্মদ আইজাজ খানের নাম এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বঙ্গর নিজেকে সিবিআই আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিত। এমনকী উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও তিনি প্রচার করতেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল টাকা ঘুষের বিনিময়ে চিটিং করা হত বলে অভিযোগ। রাজ্যসভার আসন পাইয়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিভিন্ন সংস্থার চেয়ারম্য়ান করে দেওয়া হবে বলেও প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল।
এফআইআরে অভিযোগ আনা হয়েছে, রাজ্যসভার সিট পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গর, অরোরা, খান ও নায়েক সহ অন্য়ান্য় অভিযুক্তরা একাধিক পদস্থ আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম উল্লেখ করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন। এমনকী সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে পুলিশকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, চিটিং ও দুর্নীতিরোধক আইনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।