অন্যান্য রাজ্য–সহ পশ্চিমবঙ্গ থেকে দাবি উঠেছিল, সিবিআই তদন্তে রাজ্যে আসতে গেলে সেই রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। নচেৎ ঢুকতে দেওয়া হবে না সিবিআইকে। এবার কয়লা দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্ত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথাই জানিয়েছে সিবিআই৷ সর্বোচ্চ আদালতে কয়লাপাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়৷ আর এই মামলার শুনানিতেই এদিন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই তদন্তে রাজ্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই বলেই জানানো হয়েছে৷
আদালত সূত্রে খবর, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ আর নির্বাচন যে এখন হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল৷ তাই কয়লা দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ এদিকে কয়লা–কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে সে।
অন্যদিকে এই মামলাতেই এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেওয়া হয়৷ সেখানে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের একটি আদেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের নির্দেশে তদন্ত চলছে৷ ইস্টার্ন কোলফিল্ডের এলাকায় এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন৷ কয়লা পাচার–দুর্নীতি সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে, তার পুরোটাই ঘটেছে রেলের এলাকায়৷ তাই এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই৷
কয়লা দুর্নীতির তদন্তে কার্যত সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। তার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, তা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কয়লা কাণ্ডে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই এই ঘটনার তদন্ত চলছে৷ ইতিমধ্যেই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷