ফ্রি রেশন নিয়ে কয়েকদিন আগেই নির্বাচনী জনসভা থেকে বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন নিয়ে উঠে যায় প্রশ্ন। কারণ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারেরই এক বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মোদীর কথা মিলছিল না। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা কি তাহলে শুধু মন ভোলানো কথা ছিল? এই নিয়ে বিরোধীরা তোপ দেগেছিল কেন্দ্রকে। তবে সেই সব জল্পনা, ধোঁয়াশা কাটিয়ে আজ ফ্রি রেশন নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা আগামী পাঁচবছরের জন্য দীর্ঘায়িত করা হল। (আরও পড়ুন: রেকর্ড উচ্চতায় পাকা সোনা, কলকাতার দোকানে অবশ্য আজ দাম কমল হলুদ ধাতুর)
চিহ্নিত পরিবারের দরিদ্র মানুষরা প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পাবেন এই প্রকল্পে। অন্ত্যোদয় পরিবারগুলি প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পাবে। প্রায় ৮১ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন এতে। এই আবহে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার এই খাতে ১১.৮০ লাখ কোটি টাকা খরচ করবে।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন মোদী জানিয়েছিলেন, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনেই এই ফ্রি রেশন মিলবে বলে জানা গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেল, ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে এই প্রকল্প। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছিল ফ্রি রেশন ঘিরে। তবে আজ অনুরাগ ঠাকুর জানিয়ে দিলেন ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্প নতুন করে কার্যকর হবে।
এর আগে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখনও পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি রেশন দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনই পায়নি। তার আগেই এই নিয়ে ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করিয়ে তারপর এই নিয়ে আজ ঘোষণা করা হল সরকারের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, কোভিডের আবহে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দেশে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ লকডাউনের আবহে কেন্দ্রের এই বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে পরিণত হয়। তবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। তা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী পাঁচবছরের জন্য দীর্ঘায়িত করা হল।