সপ্তর্ষি দাস
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী নয় কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে বাস্তবিক কিছু সমস্যা রয়েছে। সেকারণে অবসরের বয়স ৬৫ করা হচ্ছে না। কেন্দ্রের তরফে যে আপত্তির কথা বলা হয়েছিল সেটা গ্রহণ করেছে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটি। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী। ১৪৪তম রিপোর্টে তিনি জানিয়েছেন, মামলার পাহাড় জমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উচ্চতর আদালতের ছুটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও সুপারিশ করেছেন।
সেই সঙ্গেই কমিটি বিচারপতিদের অবসপ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় মতামত দিয়েছে। এদিকে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর। আর দেশের অন্তত ২৫টি হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬২ বছর।
এদিকে হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার ক্ষেত্রে কিছু আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র। তাদের তরফে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারে। এক্ষেত্রে যেটা হবে হাইকোর্টেই থেকে যেতে থাকবেন বহু বিচারপতি। তাঁরা আর সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইবেন না। বিচারপতি অথবা মুখ্য় বিচারপতি হিসাবে তাঁরা হাইকোর্টেই থেকে যেতে চাইবেন। যদি সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স একই হয়। তবে তাঁদের অনেকেরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা থেকে যাবে।
অন্যদিকে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের প্রিসাইডিং অফিসার বা জুডিশিয়াল মেম্বার হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হলে সমস্যা হতে পারে। এই কমিটিগুলিতে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতিদের পাওয়া যাবে না সেভাবে।
অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের একাধিক সংসদীয় কমিটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই কমিটির তরফে। এনিয়ে ফের যাচাই করার ব্যাপারে মতামত দেওয়া হয়েছে।