এপ্রিল মাস থেকে ওষুধের দাম বাড়তে পারে বলে কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উঠে আসে। যে খবরকে ‘ভুয়ো, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্র। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে মেডিসিনের দাম, কেন্দ্র বলছে, এমন তথ্য ভুয়ো, বিভ্রান্তিকর।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘কিছু মিডিয়া রিপোর্ট হাইলাইট করেছে যে এপ্রিল ২০২৪ থেকে ওষুধের দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে। এই প্রতিবেদনগুলি আরও দাবি করে যে ৫০০ টিরও বেশি ওষুধ এই দাম বৃদ্ধির ফলে প্রভাবিত হবে। এই ধরনের প্রতিবেদন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং বিদ্বেষপূর্ণ।’ ২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার্স অ্যাক্ট অনুসারে ওষুধের দুই ধরনের শ্রেণিবিভাগ হয়। DPCO ২০১৩-এর শিডিউল ১-এর অধীনে যে ড্রাগ বা ওষুধ থাকছে, সেগুলি শিডিউলড ফর্মুলেশন। আর এর আওতায় যার নাম নেই সেগুলি হল নন শিডিউলড ফর্মুলেশন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধগুলি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি’ প্রতি বছরই এই ওষুধগুলির সর্বোচ্চ মূল্য সংশোধন করে। এই দাম ধার্য করার ভিত্তি হল হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স। চলতি বছরেও সেই দাম পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে কেন্দ্র জানাচ্ছে, এবার ওষুধের দাম বৃদ্ধির হার মোটেও ১২ শতাংশ নয়। DPCO ২০১৩-এর শিডিউল ১-এর অধীনে থাকা ওষুধগুলি আবশ্যিক। উল্লেখ্য, ওষুধ সংস্থাগুলি ওষুধের সর্বাধিক পাইকারি দাম ঠিক করে ওষুধের সিলিং প্রাইসের ওপর নির্ভর করে। উল্লেখ্য, সংস্থাগুলি ওষুধের দামে এমআরপিতে জিএসটি ধরা থাকে না। সেই দাম এমন এক দাম হতে পারে, যাতে সিলিং প্রাইস ধরা থাকে না।
বলা হচ্ছে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সে নির্ভর করে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ওষুধের সিলিং প্রাইসে প্রায় সেভাবে বড় কোনও পরিবর্তন দেখা যাবে না। ৯২৩টি ওষুধের সিলিং মূল্য এখনও পর্যন্ত কার্যকর। বলা হচ্ছে, এই বছর ওষুধের দাম ০.০০৫৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।