করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোনও আর্থিক সাহায্য চায়নি ওড়িশা। তবে অবিলম্বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের পর ত্রাণকার্য বাবদ ওড়িশাকে ৫০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের জন্য আরও ৫০০ কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষয়ক্ষতির ভিত্তিতে সেই অর্থ ছাড়া হবে।
যদিও দিঘায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দিঘা এবং সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য মোদীকে পৃথকভাবে ১০,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজের আর্জি জানিয়েছেন। সেই প্যাকেজের বিষয় কিছু ঘোষণা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খতিয়ে দেখার জন্য তিনটি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে। সেই দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও আর্থিক সাহায্য করেন। প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডকে আশ্বাস দিয়েছেন যে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
শুক্রবার ইয়াস-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে আসেন মোদী। প্রথমে ভুবনেশ্বরে নেমে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আকাশপথে ওড়িশা এবং বাংলার ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকার একাংশ পরিদর্শন করেন মোদী। তারপর চলে আসেন কলাইকুন্ডা বায়ুঘাঁটিতে। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে ১৫ মিনিটের বৈঠক করেন। পরে পৃথকভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মোদী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ইয়াসে মৃতদের পরিবারপিছু দু'লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে কেন্দ্র। গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারের জন্য ওড়িশায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৩০ কিলোমিটার কম গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। দু'জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু ভরা কোটালের যুগলবন্দিতে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।